শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :

বাহুবলে ছাত্রলীগ নেতা রিপন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত : অর্থাভাবে আটকে আছে চিকিৎসা

নিজস্ব প্রতিবেদক: আমিনুল ইসলাম রিপন; বাহুবল উপজেলা ছাত্রলীগের একজন নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। আছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে। দরিদ্র শ্রমজীবী পিতার জেষ্ঠ্য সন্তান আমিনুল ইসলাম রিপন উপজেলার মিরপুর আলিফ-সোবহান চৌধুরী কলেজে পড়াশুনা করছেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক (সম্মান) কোর্সের ফাইনাল পরীক্ষার্থী তিনি। ঔষধ কোম্পানীতে খন্ডকালীন কাজ করার মাধ্যমে লেখাপড়ার খরচ যোগান দিয়ে যাচ্ছে। লেখাপড়া ও খণ্ডকালীন চাকরীর মাঝেই তিনি রাজনৈতিক দায়িত্বও সামলে যাচ্ছেন নিষ্টার সাথে। লেখাপড়া শেষ করে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারে স্বচ্ছলতা আনবেন- এমন আটপৌরে স্বপ্ন নিয়েই এগোচ্ছেন এ তরুন। সদাহাস্যোজ্জল ও দায়িত্ববান এ ছাত্রনেতা উপজেলা সদরে সবার প্রিয়। নম্রতা, ভদ্রতা ও আদব-কায়দা দিয়েই তিনি সকলের মন জয় করে নিয়েছেন। দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রিয় এ তরুন আজ ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে শষ্যাশায়ী। অস্ত্রোপাচার অতি জরুরী হওয়া সত্ত্বেও অর্থাভাবে হাসপাতালেই ভর্তি হবার সাহস পাচ্ছেন না। ব্যক্তিত্ববান এ ছাত্রনেতা সরাসরি কারো সাহায্যও চাইতে পারছেন না। তার পিতা সহ পরিবারের সদস্যরা কঠিন অনিশ্চয়তার মাঝে দিন যাপন করছেন। তাদের প্রশ্ন, রিপনের কী চিকিৎসার ব্যবস্থা হবে না! সে কী আবার স্বভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না? না কি চোখের সামনেই টগবকে যুবকের স্বপ্নগুলো কলিতে ম্লান হয়ে যাবে? একই প্রশ্ন তার সহপাঠী ও শুভাকাঙ্খিদের। তাই, তারা তার সুচিকিৎসার জন্য সরকার ও বিত্তবানদের সহায়তা চেয়েছেন। আসুন, আমরা দরিদ্র পিতার এক প্রতিভাবান সন্তানকে বাঁচাতে এগিয়ে আসি। তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৭১৭-৬১৭২৮৭ নম্বর মুটোফোনে।

বাহুবল উপজেলা সদরের উজিরপুর গ্রামের মোঃ ফুল মিয়া-এর পুত্র আমিনুল ইসলাম রিপন ৪ ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। কিছুদিন পূর্বে সে মাথায় প্রচন্ড ব্যথা অনুভুত করলে তাকে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়। চিকিৎসায় তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। পরে তার দৃষ্টিশক্তি কমতে শুরু করলে চোখের চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে নিউরো সার্জারী চিকিৎসকের কাছে প্রেরণ করা হয়। ঢাকার ধানমন্ডীস্থ মেডিনোভা হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. আনোয়ার উল্লার তত্ত্ববধানে চিকিৎসা নিতে গিয়ে তার ব্রেইন টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার সার্জারী সম্পন্ন করাসহ আনুসাঙ্গিক খরচ বাবত প্রায় ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। এটা জানার পর থেকেই ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম রিপন চোখে শষ্যফুল দেখতে শুরু করেছেন। তার পৈত্রিক সম্পদ বলতে ভিটাবাড়ি ছাড়া কিছু নেই। ফলে চিকিৎসা সম্পন্ন করার মতো আশার আলোও দেখছেন না তিনি। অসহায় এ ছাত্রনেতা মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য চেয়েছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন

ওয়েবসাইটের কোন কনটেন্ট অনুমতি ব্যতিত কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি।
Design & Developed BY ThemesBazar.Com